কয়েকবছর আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর হয়েছিল। এবারও ঘটল সেই ঘটনা। বর্ণবাদী পুলিশি নৃশংসতার শিকার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন আরও এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের হেফাজতে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম কিনান অ্যান্ডারসন।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ঝড় তোলা আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের’ অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিস কালারসের পরিবারের সদস্য তিনি। পুলিশ তাকে রাস্তায় ফেলে চেপে ধরে এবং টিজার গানে দফায় দফায় বৈদ্যুতিক শক দেয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় তার। অ্যান্ডারসনের আগে জানুয়ারির শুরুতে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের হাতে আরও এক কৃষ্ণাঙ্গ ও এক বাদামি বর্ণের মানুষের মৃত্যু হয়।
অ্যান্ডারসনের মৃত্যুর পর মানবাধিকার কর্মীরা আবারও যুক্তরাষ্ট্র পুলিশে সংস্কার আনার দাবি তুলেছেন। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা উচিত নয়।
৩ জানুয়ারির একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। বুধবার ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ করা হলে তা আলোচনায় আসে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের (এলএপিডি) বডি ক্যামেরা (পুলিশের ইউনিফর্মের সঙ্গে এই ক্যামেরা থাকে) ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তারা অ্যান্ডারসনকে চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দিচ্ছেন। তখন তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছিলেন। এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তারা আমার অবস্থা জর্জ ফ্লয়েডের মতো করার চেষ্টা করছে।’
২০২০ সালের মে মাসে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ সদস্যদের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড নিহত হন। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ বছর বয়সি কিনান অ্যান্ডারসন পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় থাকতেন। অ্যান্ডারসন লস অ্যাঞ্জেলেসে কেন গিয়েছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাংলাপেইজ/এএসএম