চলতি মৌসুমকে বলা হয় ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে নাগালের বাইরে শীতকালীন সবজি। শীতে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশি দামে ব্রিক্রি হচ্ছে। নানা ক্রেতাতো রয়েছে। তবে বিক্রেতারাও শোনালেন নাগালের বাইরের দামের কথা। এদিকে ভারত থেকে আমদানি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমেছে চালের।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ একাধিক বাজারে শুক্রবার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজারে মরিচের কেজি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখনও ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও এগুলোর দাম প্রায় অর্ধেক ছিল। একটি লাউ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
করলার কেজি ফের ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। ১০ থেকে ১২ আগেও এটি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা ও গাজর ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে চীনা আদা ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয় রসুন।
ভারতীয় চাল আমদানির প্রভাবে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি গুটিস্বর্ণা বিক্রি হয় ৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫৫ টাকা। ৫ টাকা কম দরে মিনিকেট ৭০ টাকা, আটাশ ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া নাজিরশাইল ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
১০০ ডিমের দাম দেড় শ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, তবে খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, হাঁসের ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে দাম বাড়ছে ডিমের। প্রতি দিনই ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগে ১০০টি ডিমের দাম ছিল ৮১০ থেকে ৮২০ টাকা। এখন সেটা ৯৬০ টাকায় ঠেকেছে। এভাবে আমাদের ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিতে হচ্ছে, তবে আমরা খুচরা বাজারে আগের দরেই বিক্রি করছি।
ব্রয়লার ছাড়া সব ধরনের মুরগি ও মাংসের দামও বেড়েছে। বিক্রেতা নাসির ও সোহেল জানান, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। সোনালি ২৫০ টাকা, লাল লেয়ার ও সাদা কক ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয় ৭০০ টাকায়। আর মহিষের মাংসের কেজি ৮০০ টাকা বলে জানান বিক্রেতা খোকন। অন্যদিকে খাসির মাংস এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। ছাগলের মাংস বিক্রি হয় ৯০০ টাকা কেজি।
বাংলাপেইজ/এএসএম