বাংলাদেশের এক সময় কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় লাল-সবুজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তারপর হঠাৎ করে নিজ দেশে কোচের অফার পেয়ে চলে যান শ্রীংলকায়। দুই বছর লংকান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ফিরেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে। তারপর ৫ বছর পর আবারও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিরলেন হাথুরু। দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক টাইগার এ কোচ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মাঝখানে বাংলাদেশ কোচ ছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। তার বিদায়ের পর মাসখানেক ধরে ফাঁকা ছিল প্রধান কোচের জায়গাটা। গুঞ্জন ছিল কয়েকজন বিদেশি কোচের ব্যাপারেই।
তবে সেসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও টাইগারদের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেলেন শ্রীলঙ্কান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কনসালটেন্ট হিসেবে ছিলেন ভারতের শ্রীধরন শ্রীরাম। গুঞ্জন উঠেছিল, ক্ষুদ্রতম সংস্করণে আবারও দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি। তবে সে গুঞ্জনও টিকল না আর। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে আসছেন লঙ্কান কোচ।
কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পাপন বলেন, ‘আমরা হাথুরুকে ৩ ফরম্যাটের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। অন্তত ২ বছর সে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা একজন সহকারী কোচও নিয়োগ দেব। এই তালিকায় ৫ জন আছে। আছে উপমহাদেশের ৩ জন। তারা ২৫ তারিখের মধ্যে দেশে এসে সাক্ষাৎকার দেবেন।’
নতুন করে কোচ হওয়ার পরে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আবারও বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য সম্মানের। যখন বাংলাদেশে থেকেছি, আমি এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও সংস্কৃতি পছন্দ করেছি। আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করা ও তাদের সাফল্য উপভোগ করতে চাই।’
এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে চান্ডিকার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া। এটা ক্রিকেটারদেরও লাভবান করবে। সে প্রমাণিত টেকটিশিয়ান, আমরা তার প্রথম মেয়াদে দলে ইম্প্যাক্ট দেখেছি।’
বাংলাপেইজ/এএসএম