টি-টোয়েন্টিতে ২১১ রানের লক্ষ্য, এই রান তাড়া করে জয় পাওয়ার কথা চিন্তা করাও তো কঠিন। তবে কঠিন কাজটিই যেন সহজে করে ফেললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
২১০ রানের পুঁজি নিয়েও লড়াই করতে পারলো না খুলনা টাইগার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতলো ৭ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে। নবম ম্যাচে এটি কুমিল্লার ষষ্ঠ জয়, অন্যদিকে সমান ম্যাচে সপ্তম হার খুলনার।
বড় রান তাড়া করতে গিয়ে ২২ রানে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে বসেছিল কুমিল্লা। লিটন দাস ৪ রানে মাঠ ছাড়েন চোট পেয়ে, ইমরুল কায়েস ফেরেন ৫ করে।
তবে এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর জনসন চার্লস ৬৯ বলে ১২২ রানের জুটিতে ম্যাচ বলতে গেলে বের করে নেন। ৩৯ বলে ৮ চার আর ৪ ছক্কায় ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।
চার্লস সেঞ্চুরি করেছেন, ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ৫৬ বলে চার্লসের ১০৭ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৫ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ১১টি ছক্কার মার।
এর আগে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত একটি ইনিংসের সমাপ্তি হয় একরাশ হতাশা নিয়ে। ৯৫ রান করে আউট হয়ে যান দেশসেরা ওপেনার। তবে তামিম আর শাই হোপের বিধ্বংসী এক জুটিতে ভর করেই ২ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় গড়ে খুলনা টাইগার্স।
টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। দলীয় ১৩ রানের মাথায় মাহমুদুল হাসান জয়কে (১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন নাসিম শাহ। এরপরই তামিম-হোপের ব্যাটিং কারিশমা। দ্বিতীয় উইকেটে এই যুগল ১০৪ বল খেলে গড়েন ১৮৪ রানের বিধ্বংসী এক জুটি।
সেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। ১৯ ওভার শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। একটু দেখে খেললেই হয়তো হয়ে যেতো।
কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলটিই তুলে মারতে যান তামিম। বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ ধরেন খুশদিল শাহ। ৬১ বল মোকাবেলায় গড়া তামিমের ৯৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ১১টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার।
শাই হোপও সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিলেন। তবে তিনি সুযোগ পাননি। ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৭ ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনার ক্যারিবীয় এই ব্যাটার।
বাংলাপেইজ/এএসএম