ছয় দল নিয়ে আগামী ২ এপ্রিল শুরু হবে কোটি টাকার সুপার কাপের চতুর্থ আসর। সর্বশেষ আলোচিত এই আসরটি হয়েছিল ২০১৩ সালে। তারপর আর এই আসরটি আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতি দিয়ে আগামী মাসে মাঠে গড়াচ্ছে সুপার কাপ। ফাইনাল হবে আগামী ১৩ এপ্রিল।
সোমবার বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘ছয় দল নিয়ে সুপার কাপ হবে এপ্রিলে। ২ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ এপ্রিল। তিনটি করে দল দুই গ্রুপে খেলবে, প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে দল সেমিফাইনাল খেলবে এবং এরপর ফাইনাল। এই ছয়টি দল নির্বাচনের জন্য আমাদের বাছাই প্রক্রিয়া আছে। (গত মৌসুমের) লিগ টেবিলের সেরা চারটি দল সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। এ মাসের ১৪ ও ২৮ তারিখে গত বছরের লিগ টেবিলের বাকি সাতটি দলের মধ্যে বাছাই পর্ব হবে, সেখান থেকে দুটি দল পাবে মূল পর্বের টিকেট।’
এবারের কোটি টাকার আসরের জন্য সূচিও চূড়ান্ত করেছে বাফুফে। বাছাই পর্ব শুরু হবে চলতি মাসের ১৪ তারিখ ও ১৮ তারিখে। সেখানে খেলবে গত বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পঞ্চম থেকে এগারোতম স্থানধারী দল। দলগুলো যথাক্রমে-শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ এফসি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, উত্তরা বারিধারা ক্লাব ও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি খেলবে গত লিগের প্রথম থেকে চতুর্থ স্থান পাওয়া দল। এই চারটি দল বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গত লিগে তৃতীয় স্থানধারী দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল থেকে সরে যাওয়ায় সেখানে সুযোগ পাচ্ছে গত লিগের পঞ্চম স্থান পাওয়া ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা মোহামেডান।
সূচি চূড়ান্ত হলেও ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভেন্যুর বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে বাছাই পর্বের খেলাগুলো হবে প্রিমিয়ার লিগে হওয়া মাঠগুলোতে। আর চূড়ান্ত পর্বের খেলাগুলো হবে ঢাকার বাইরে মাঠে। এই বিষয়ে সোহাগ বলেন, ‘ভেন্যু নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের পেশাদার লিগ কমিটির মিটিংয়ে শিগগিরই সুপার কাপের ভেন্যু চূড়ান্ত করা হবে। যোগ করেন, যদিও বছরের শুরুতে কমিটির একটা আলোচনা ছিল যে সুপার কাপ আমরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে করতে পারি কি না। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুতে সুপার কাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
এদিকে তারিখ নির্ধারণ হলেও কোটি টাকার সুপার কাপ মাঠে গড়ানো নির্ভর করছে স্পন্সরশিপ পাওয়ার ওপর। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্পন্সরশিপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আজকেও (সোমবার) আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে আমরা এই স্পন্সরশিপের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব। তবে আমরা সুপার কাপ আয়োজন করতে পারব স্পন্সরশিপ নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে।
উল্লেখ্য, প্রথম মেয়াদে বাফুফের সভাপতি হওয়ার পর এই সুপার কাপ আয়োজন করেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৩ সালে তিনবার হয়েছিল বড় বাজেটের এই টুর্নামেন্ট। যেখানে আবাহনী লিমিটেড একবার ও মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয় দুবার।
বাংলাপেইজ/এএসএম