ফেব্রুয়ারি মাসকে বলা হয় ভালোবাসার মাস। তাই এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয় ভালোবাসার দিবষের দিনগোনা। ভালোবাসার সপ্তাহের তৃতীয় দিন হলো চকলেট দিবস। এই দিনটি সম্পর্কের বন্ধনকে ঠিক চকলেটের মতোই মিষ্টি করে তোলে। কেবল প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে নয়, চকোলেট ডে-তে যে কেউ তার প্রিয় মানুষকে চকলেট উপহার দিতে পারেন।
ভ্যালেন্টাইন উইকের শুরুতে রোজ ডে, এরপর যথাক্রমে প্রপোজ ডে, চকলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে, কিস ডে এবং সবশেষ ভ্যালেন্টাইন ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি) পালিত হয়।
যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এ দিনটি পালনের কোনো প্রথার নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ‘চকলেট ডে’ পালন একটু দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার প্রতিচ্ছবির মতোই।
লাতিন আমেরিকার প্রথম সভ্যতা পেয়েছিল ‘চকোলেট’এর প্রথম স্বাদ। এই নামটিও এসেছিল সেখান থেকে। তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত এই চকোলেট গোড়ার দিকে মূলত পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করা হত।
সে আমলে আবার অনেকে তা রান্নার মশলা হিসাবেও ব্যবহার করতেন। তখন কেবল মায়া রাজ পরিবারের সদস্য, প্রশাসক, ধর্মগুরু, সৈনিক এবং সম্মানীয় বণিক সম্প্রদায়ই একমাত্র এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারত।
বাংলাপেইজ/ এএসএম