বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় নিয়ম বহিঃভূত, কোন প্লান ছাড়াই নির্মান হচ্ছে মালিকানাধীন তিনতলা ভবনের কাজ।
উপজেলার ২ নং ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ডের বাজার সংলগ্ন মৃত্যু আব্দুল লতিফ’র ছেলে মনিরুজ্জামান এই স্থাপনাটি কোন আইন না মেনেই এক তলা থেকে তিনতলায় রুপান্তরিত করছেন। ভবনটির আশে পাশে অনেক জনবসতি রয়েছে। যারা জীবনঝুকির মধ্যে রয়েছেন।
ভবনটি অপরিকল্পিত ও বেইজ বিহীন হওয়ায় পাশ্ববর্তী আকতারুজ্জামান বিপ্লব নামের এক সচেতন নাগরিক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করে অবহিত করনপত্র যার স্মারক নং ১০১/২২-২৩ এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন।
যাহাতে উল্লেখ থাকে যে, আবেদনকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় ভবনটি সরকারী প্লান বহিভূত এবং মাত্র ৮ মিঃ মিঃ রড দিয়ে সিড়ি এবং তিনতলার ছাদের পিলার নির্মাণ করছে যা সরকারি নির্দেশনার পরিপন্থী। সুতরাং ভবনটি ঝুকিপূর্ণ। তাই পাশ্ববর্তী বসবাসকারীদের জীবন ঝুকির সম্মূখীন রয়েছে।
চেয়ারম্যানের এই অবহিত করন পত্র পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর, বানারীপাড়াকে অবহিত করলে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী এল জি ই ডি মোঃ হুমায়ুন কবির স্মারক নং ৪৬.০২.০৬১০.০০০.৯৯.২৩.০৬ তে গত ১ ফেব্রুয়ারী ভবন মালিক মোঃ মনিরুজ্জান মনিরকে সরকারী গেজেট এর স্মারক নং ৪৬.২২.০০০০.০১৭..৯৯.০০৪.১৫.৫৪২ অনুয়ায়ী (নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী উপজেলা ও স্থানীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রাধীন এলাকায় উপজেলা পরিষদ হতে নকশা অনুমোদন বাধ্যতামূলক) সেই নির্দেশনা অমান্য করে ভবনের কাজ করায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রেখে ৩ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ভবন মালিকের কাছে ভবন নির্মাণের যে নকশা ও ডিজাইন রয়েছে তা নিয়ে সকাল ১১ টায় স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকাশ্যে কাজ বন্ধ থাকলেও রাতের আধারে তিনতলার পিলারের কাজ নিয়মিত চলছে এবং ছাদের কাজ ও চলছে যা সরকারি আদেশ অমান্য ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ২০ বছর ১ তলা ভবনে বসবাস করার পর হঠাৎ করে দ্বিতলা ও তিন তলার কাজ নির্মান শুরু করেন মনিরুজ্জামান।
এ বিষয়ে ভবন মালিকরা জানায়, আমরা উপজেলায় প্লান জমা দিয়েছি। তাছাড়া এখানে টাওয়ার হবার কথা ছিল। সেটা হয় নায় তাই এখানে বহুতলা ভবন করা সম্ভব।
গতকাল সরেজমিন তদন্তকালে ঘটনাস্থ পরির্দশনের সময় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, কাজের সাথে ড্রইংয়ের সাথে মিল নাই। একজন ইঞ্জিনিয়ার একটি প্রত্যয়ন দিয়েছে যে তিনতলা করা যাবে তাই এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করলাম না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ভবনটি শুধু ঝুকি পূর্ণই নয় খুবই ঝুকিপূর্ণ। তিন সুতি রড /৮ মিঃ মিঃ রড দিয়ে একতলা ভবনের ছাদই সম্ভব নয়, সেখানে তিনতলা ভবনের ছাদ ও পিলার কোনমতেই সম্ভব নয়। এই ভবনের আশেপাশের লোকজনই যে শুধু জীবন রয়েছে ঝুকিতে তা নয় এই ভবনে যারা বসবাস করবে তারা থাকবে আরো ঝুকিতে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা তদন্ত করেছি, আমাদের একটি টিম রয়েছে, ইউ এন ও মহোদয় রয়েছেন, তাই সবাই মিলে আমরা একটা রিপোর্ট দিব।
এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আরজিন তন্বী বলেন, প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির ভবনটি পরির্দশন করেছেন। রিপোর্ট দিলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।