কয়দিন আগেই রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপিত করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা স্থাপিত রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ‘কে বা কারা’ এটি সরিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায় নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভাস্কর্যটি আর দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার ভোরে এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে ভাস্কর্যটি যেখানে রাখা হয়েছিলো সেখানে ‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’ এমন লেখা সম্বলিত ব্যানার টানানো আছে।
এ বিষয়ে ভাস্কর্য স্থাপনের সাথে যুক্ত ও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি আর নেই। আমরা এখন পর্যন্ত জানি না এটি কে বা কারা করেছে। আমরা কিছু সময় পর প্রক্টর স্যারের সাথে দেখা করবো এবং এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো৷
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম বানী বলেন, আমরা জানার চেষ্টা করছি কারা এই ভাস্কর্যটি ওখানে বসিয়েছে? কেনো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভেতর অনুমতি ছাড়া একটা নান্দনিক ভাস্কর্যের সাথে আরেকটা ভাস্কর্য বসিয়ে এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে। আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিকে নিয়ে তারা কী তামাশা করছে? অনেকের কাছ থেকে এটার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এটা ছাত্রদের কাছ থেকে কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আরোপিত সেন্সরশিপ ও নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির বইমেলার প্রবেশমুখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদী ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ভাস্কর্যটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং হাতে থাকা একটি বই পেরেক মেরে বন্ধ করে রাখা হয়।
বাংলাপেইজ/এএসএম