ভারতের ওড়িশা রাজ্যে তিনটি ট্রেনের পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৯০০ জনের মতো। দুর্ঘটনাকবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার মো. আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী।
বেঁচে ফেরা ঝিনাইদহের যাত্রী আক্তারুজ্জামান ভয়াবহ ঐ ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, শুক্রবার দুপুরে হাওড়ার শালিমার স্টেশনে হাজির হন। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাদের নির্ধারিত করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন ওডিশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা হাজার হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাঁও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।
তিনি জানান, তারা ছিলেন ২-এ এসি বগিতে। তাদের সামনে ছিল কয়েকটি বগি। তারা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে সামনে কী ঘটেছে, দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষগুলো তাদের যেতে দিল না। তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে দিলেন। আর যারা ভালো আছেন, তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। এরপর বাসযোগে কিছুটা দূরে এক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে আজ সকালে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়ে।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নিতে যান অনেক বাংলাদেশি। ওড়িশার বালেশ্বরে কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে আরো বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিদের খবর নিতে একটি একটি হোয়াটসঅ্যাপ হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ ) নম্বর চালু করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন।
কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ঐ ট্রেনটিতে যাতায়াত করেন। এ বিবেচনায় দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সঙ্গে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন যোগাযোগ রাখছে।