সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মাঝে দুইদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছিল। ফলে কমে এসেছিল তাপমাত্রা।
সেই প্রবণতা কিছুটা কমায় ফের দেখা দিয়েছে তাপপ্রবাহ, যার মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
রোববার (১১ জুন) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। আর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার।
আগামী দুইদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এ সময়ে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে বিস্তার লাভ করতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওযাবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১১৭ মিলিমিটার।