সবশেষ ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আফগানদের সঙ্গে এ ফরম্যাটে আর মুখোমুখি হয়নি টাইগাররা। অবশেষে আবারো দলটির বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামছে লাল-সবুজের জার্সি ধারীরা।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। হোম অব ক্রিকেটে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। খেলাটি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি।
আঙুলের চোটে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এতে টাইগারদের নেতৃত্ব ভার উঠেছে লিটন দাসের কাঁধে। নতুন নেতৃত্বে কেমন খেলবে বাংলাদেশ এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সে (লিটন) যা করার তা-ই করবে। ব্যাটিংয়ের ব্যাপার আলাদা। যখন তুমি ব্যাটার, তখন তুমি সেরা ব্যাটার। আর অধিনায়ক হলো বাকি ১০ ক্রিকেটারের নেতা।’
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের দলপতি রশিদ খানকে। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পেয়েছেন দলটির টপ অর্ডার ব্যাটার হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
আসন্ন টেস্টের বেশ আগেভাগেই স্কোয়াড ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে টাইগার শিবিরে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু এবং উঠতি পেসার মুশফিক হাসান। আর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার একদিন আগে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে সফরকারী দল। গত শনিবার (১০ জুন) ঢাকায় আসেন শাহিদি-রহমতরা।
টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের পর দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে আফগানিস্তান। যেখানে প্রথম দেখাটা ভুলে যেতে চাইবে টাইগার বাহিনী। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানের ব্যবধানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। সেবার বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই ১১ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ খান। অবশ্য ইনজুরির কারণে মিরপুর টেস্ট মিস করবেন তিনি।
রশিদের অনুপস্থিতি নিয়ে আফগান অধিনায়ক শাহিদি বলেন, ‘একটু চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। সবাই জানে সে (রশিদ খান) আমাদের অন্যতম প্রধান বোলার। টেস্টে অতীতে সে অনেক ভালো করেছে। তবে আমাদের অন্য বোলার আছে, অন্য অপশন আছে। তারাও ভালো খেলবে ইনশাআল্লাহ্।’
এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই জানিয়ে লিটন দাস বলেন, ‘ওই জিনিসটা অতীত হয়ে গেছে অনেক আগেই। আর আমি অতীত নিয়ে এত চিন্তিত না। এসব নিয়ে খুব একটা ভাবিও না। যেহেতু নতুন খেলা, নতুন চ্যালেঞ্জ-এটা নিয়েই এখন আমাদের প্রস্তুতি।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, শাহাদাত হোসেন দিপু, মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুশফিক হাসান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ।
আফগানিস্তান স্কোয়াড: হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ, আফসার জাজাই, ইকরাম আলী খিল, ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, বাহির শাহ, নাসির জামাল, করিম জানাত, জহির খান, ইজারুল্লাহক নাভিদ, হামজা হোতাক, ইব্রাহিম আব্দুল রাহিমজাই, ইয়ামিন আহমদজাই, নিজাত মাসুদ।