ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্তোনি। তার সাবেক প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েল কাভালিন দাবি করছেন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে তাকে হত্যা দিয়েছিলেন অ্যান্তোনি।
পর্তুগালের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাভালিন বলেছেন, তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। এমনকি ওই সময় তার গর্ভপাতও হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘সে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। আমার মুখ ধরে গাড়ির দরজার সঙ্গে ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর আমি নিজের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘অনেক হয়েছে, আর না।’
ব্রেক আপ করতে চাওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আটকে রেখেছিল বলেও দাবি করেছেন কাভালিন, ‘সে আমার স্যুটকেস ভেঙে ফেলেছিল। আমার হ্যান্ডব্যাগ, পার্সপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। ফোন ভেঙে ফেলেছিল এবং কোনভাবেই সেখান থেকে যেতে দেয়নি। রাত ১০টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আমাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সম্পর্কের প্রমাণ মুছে না ফেলা পর্যন্ত যেতে দেবে না বলে হুমকি দিতে থাকে। যতটুকু মনে পড়ছে, তার মা ফিজিওথেরাপিস্টকে ডেকেছিল, কিন্তু তাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।’
ওই সাক্ষাৎকারে কাভালিন আরও জানান যে, তার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিল যা নিয়ে তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়েন, ‘ওটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয় এবং খুব বেশি অপরাধবোধেও ভুগি। ওই সময় আমি আতঙ্কের মধ্যে গিয়েছিলাম, আমি ক্রমাগত কাঁদতাম, মনে হতো আমি মারা গেছি।’