মোহাম্মাদ উল্লাহ সোহেল, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির মেরানো শহর সবুজ, শ্যামল, নীলাভুমি এখানকার প্রকৃতি। প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বদলায় সেই প্রকৃতির রঙ ও রূপ। হয়ে উঠে আরও মোহনীয়-মায়াময়। সুউচ্চ পাহাড়-টিলার চূড়া থেকে হঠাৎ নেমে গেছে বাঁকা পথ।
সবুজে মাজে সুড়ঙ্গের মতো পথ, পাড়ি দিতেই হঠাৎ দেখা মিলছে দূর পাহাড়ের ওপর সাদা মেঘের ভেলা। আর কখনও কখনও লেকের স্বচ্ছ জলে ভেসে উঠছে পাহাড়সুদ্ধ সেই মেঘের ছবি। এখানে পাহাড়-লেক আর মেঘের খেলা, সেই খেলায় রঙের মেলায় মন হারিয়ে যাওয়ার স্থানটির নাম মেরানো। উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথের ধারে কয়েকশ ফুট নিচে তাকালে ছমছম করে উঠবে শরীর। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় নিয়ে গড়ে ওঠা প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি ইতালির মেরানো শহর। যার সৌন্দর্য লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
সেই মেরানো শহরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেরানো বসবাসরত সকল বাংলাদেশীদের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা মেরানোর কিম অডিটোরিয়ামে ২৫ শে জুলাই দুপুর একটা সময় মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সে সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসেসরে কমুনালে নেড়িও জাকারিয়া, পারতিতো আলেয়ানসা পের মেরানো।
টিসিয়ানো মেসকিনি, আলেয়ানসা পের মেরানো।
প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত মিলনমেলা স্থানে মেরানো বসবাসরত বাংলাদেশীদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। শিশুকিশোরদের বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল।
যৌথভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও মোস্তাফিজ কামাল কাদের।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত, মধ্যাহ্নভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
ভেনিস, লন্ডন, রোম থেকে আগত শিল্পীরা মাতিয়ে রাখেন পুরো অডিটোরিয়াম। সে সময় একটুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, কর্মব্যস্ততা মধ্যে এরকম আয়োজন আমাদের ক্লান্তি দূর করে।