সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উন্মুক্ত হলো প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আইফোনের ১৫ সিরিজ। সেই সঙ্গে অবসান হলো আইফোন নিয়ে অনেক গুঞ্জনের।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপলের সদর দপ্তরে আইফোন ১৫ সিরিজের পাশাপাশি, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ২ উন্মোচন করা হয়।
অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে বিশ্বজনীন টাইপ সি চার্জার ব্যবহার করা যাবে। দীর্ঘদিন ধরে আইফোনে টাইপ সি চার্জার যোগ করার দাবি করে আসছিলেন ব্যবহারকারীরা। অবশেষে আইফোন ১৫-তে সেই চার্জার যুক্ত করল অ্যাপল।
জানা গেছে, আইফোন ১৫ ও ১৫ প্লাস ফোন দুটির প্রধান ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। গত বছর আইফোন ১৪ প্রোর মডেলে যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেছিল অ্যাপল, আইফোন ১৫ ও ১৫ প্লাস ফোন দুটিতে একই হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু ক্যামেরা অ্যাপে নতুন টেলিফটো অপশন ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ফোন দুটি পিঙ্ক, ইয়েলো, গ্রিন, ব্লু এবং ব্ল্যাক কালারে বাজারে পাওয়া যাবে।
আইফোন ১৫ এর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯৯ ডলার (১ ডলার সমান ১১০ টাকা)। আর আইফোন ১৫ প্লাস এর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯৯ ডলার।
তবে সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে এসেছে আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স। কারণ, অ্যাপল বলছে ফোন দুটিতে বিশ্বের সর্ব প্রথম ৩ ন্যানোমিটার চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে নতুন এ১৭ প্রো চিপ।
এই ফোন দুটিতে আইফোনের সিগনেচার আইকনিক সাইলেন্ট সুইচের বদলে সংযুক্ত করা হয়েছে অ্যাকশন বাটন। এর কার্যকারিতা অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রার অ্যাকশন বাটনের মতো।
ব্ল্যাক টাইটেনিয়াম, হোয়াইট টাইটেনিয়াম, ব্লু টাইটেনিয়াম এবং ন্যাচারাল টাইটেনিয়াম এই চার রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স।
১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের আইফোন ১৫ প্রো’র দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৯ ডলার। আর একই ভ্যারিয়েন্টের আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স’র দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯৯ ডলার।
অ্যাপল জানিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে নতুন ফোনগুলোর অর্ডার নেওয়া শুরু হবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা এটি হাতে পাবেন।