বাংলাপেইজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যস্থ ‘জাফরাবাদ স্কুল এন্ড কলেজ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, অসাধু কার্যক্রমের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
গত বুধবার বাংলাপেইজে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ লিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলাস্থ জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সম্মানিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগীবৃন্দ নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গত ২০১৬ ইং হইতে জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘কলেজ শাখা’ খোলার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষের অনুরোধের ভিত্তিতে ব্রিটেনে অত্র এলাকার সর্বস্তরের বিলাত প্রবাসীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সাধারণ সভার মাধ্যমে জাফরাবাদ হাই স্কুল এন্ড কলেজ ডেভেলপমেন্ট কমিটি ইউকে’ নামে একটি কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কমিটি সফল কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার উপরে কলেজ উন্নয়ন ফান্ডে অবদান রেখেছে। যার কারণে, এই কলেজে অত্র এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে মেয়েরা বিনা বেতনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে মাথা উঁচু করে জীবনে সফলতার স্বপ্ন দেখছে। এপর্যন্ত প্রায় পাঁচটি ব্যাচ এই কলেজ থেকে পাস করে বেরিয়েছে।
গত ২০২২ সালের ৯অক্টোবর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে ডেভেলপমেন্ট কমিটির উদ্যোগে সাধারণ সভা করে, সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর ব্যাপক উপস্থিতিতে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়, যে সকল শিক্ষানুরাগীরা এপর্যন্ত ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট তারিখের আগে সমপরিমাণ অর্থ দিবেন; তাদের ‘ফাউন্ডার ট্রাস্টি’ হিসাবে গণ্য করে ‘ জাফরাবাদ স্কুল এন্ড কলেজ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। যার পরিচালনা কমিটিতে প্রথম টার্মের জন্য শুধুমাত্র ফাউন্ডার ট্রাস্টিরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। এই সংগঠন কলেজ উন্নয়নে সহযোগিতা সহ কলেজের আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কিন্তু, দেশে ও বিলেতে প্রতিষ্ঠানের ‘গোল্ডেন জুবিলী’ আয়োজন ও অন্যান্য কারণে সবাই ব্যস্ত থাকাতে, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগীদের অনুরোধে ২/৩ বার ট্রাস্ট্রি গ্রহণের শেষ তারিখ পিছিয়ে, সংশ্লিষ্ট সবার মতের ভিত্তিতে সর্বশেষ ৯ জুন ২০২৩ ইং শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই তারিখের মধ্যে, অত্র এলাকার অবশিষ্ট সকল শিক্ষানুরাগীদের ট্রাস্টের আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। এবং ফাউন্ডার ট্রাস্টিদের নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন/ অফলাইন মিটিং করে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইংরেজি তারিখে সাধারণ সভার মাধ্যমে নব রূপায়িত সংগঠনের প্রথম কার্যকরী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপরে উল্লেখিত তারিখে অত্র এলাকার অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি এবং পূর্বের উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জনাব মুহাম্মদ মনির হোসাইন এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব রিয়াজুর রহমান সাহেব ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের ছাত্র আব্দুল করিম সাহেবকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনপূর্বক, সন্তুষ্ট জনক ট্রাস্টিদের উপস্থিতিতে কার্যকরী কমিটির মূল পদগুলি নির্বাচিত করা হয়। এবং পরবর্তীতে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এই নির্বাচিত কমিটির দুইজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ওই দিন সবকিছু মেনে নিয়ে, পরের দিন রাত থেকে নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানান এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা প্রচার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সচেষ্ট থাকেন। এছাড়া, গত সাত বছর যাবত যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ আমাদের কার্যক্রমকে বাঁকা চোখে দেখে আসছেন, তারাও উক্ত সংগঠন এবং কমিটির বিপক্ষে মিথ্যা প্রচারণা করতে থাকেন। যদিও প্রকৃত শিক্ষানুরাগীদের যেকোনো সময় অত্র অর্গানাইজেশনের সদস্য হওয়ার সুযোগ আছে, এবং আগামী টার্মে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটির নেতৃত্বে আসতে ও কোন বাধা নেই।
এমতাবস্থায়, এই সমস্ত হিংসা প্রবণ, পদলোভী, সমাজে বিরোধ সৃষ্টিকারী ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ বিরোধী ব্যক্তিবর্গ ১৭/০৯/২৩ ইং তারিখে বিলুপ্ত ‘উন্নয়ন কমিটি’র কিছু ব্যক্তির নামে গত ৪ ডিসেম্বর’ ২৩ইং লন্ডনে সাধারণ সভা করে জনাব ফয়জুন নূর (মাসুক মিয়া) ও তহুর আলীর নেতৃত্বে আরেকটি বিতর্কিত কমিটি করেন। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিলেত ও দেশের অত্র এলাকায় বিভাজন সৃষ্টি হবে, কলেজ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যস্থ ‘জাফরাবাদ স্কুল এন্ড কলেজ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ এই উপরোল্লেখিত হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। সেই সাথে আগ্রহী শিক্ষানুরাগীরা অত্র অর্গানাইজেশনে যোগ দিয়ে আমাদের এলাকাকে উচ্চ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিশেষ অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম