দেশে থানায় ও আদালতে মালখানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মামলার আলামতের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ প্রধানকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ৫ জন আইনজীবী সারা দেশের মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারের অবহেলা অবৈধ ঘোষণা চেয়ে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। সারা দেশের বিভিন্ন মালখানাগুলো কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি ও অন্যান্য আটক জিনিসপত্র অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হচ্ছে। এসব রিপোর্ট ও ঢাকার ১০টি থানার মালখানার ছবি ওই রিট আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা হয়। আদালতের কাছে মামলার বাদীরা মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দিতে অনুরোধ জানান।
রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীরা হলেন, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান, ইমরুল কায়েস। মামলায় সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।