মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল বরাত আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এদিন দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। ১৪৪৫ হিজরী বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই, এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, এ রাতে রয়েছে পাপমোচনের সুযোগ। নির্ধারিত হয় পরবর্তী বছরের হায়াত, রিজিক, আমল। আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমালাভে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ মাহফিল, নফল নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন শবেবরাতে। অনেকে মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তাছাড়া আগামী সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেয়া হয়েছে সরকারি ছুুটির ঘোষণা।
শবে বরাত উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পবিত্র রমজানে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
অপর এক পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র শবে বরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনাও করেছেন তিনি।
আইকে/বাংলাপেইজ