মোহাম্মাদ উল্লাহ সোহেল, ইতালি প্রতিনিধি : ইতালিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানের উদ্যোগে ১৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে” প্রতিপাদ্যে ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪।
দিবসটি উযদাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িকসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতঃপর কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান।
মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগ সহ উত্তর ইতালির বিভিন্ন সংগঠনের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু দুইটি সমার্থক শব্দ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ও বলিষ্ঠ সাংগাঠনিক দক্ষতায় বাংলার নিপীড়িত মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। বঙ্গবন্ধুর মতো আত্মত্যাগী নেতৃত্ব বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তিনি সবসময়ই নির্যাতিত মানুষের স্বার্থকে ব্যক্তি স্বার্থের উপরে স্থান দিয়েছেন। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, পৃথিবীর সকল নির্যাতিত শিশুদের অধিকার আদায়ের জন্য বর্তমান বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সঠিকভাবে অনুশীলন করার জন্য আহ্ববান জানান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নিজেদের পরিবারের শিশুদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি সকল প্রবাসীকে অনুরোধ করেন। এছাড়াও, সন্তানদের মধ্যে দেশপ্রেম এর শিক্ষা দেয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বিজ্ঞান চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন।