বান্দরবানের তিন উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ওইসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্র সমূহে যে কোনো ধরণের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, ওইসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ দিদারুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে কোনো হোটেলে পর্যটকের রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনো ট্যুরিস্ট গাইড ভ্রমণকারীদের কোনো পর্যটন কেন্দ্রে নিয়ে যাবে না। কোনো পর্যটন কেন্দ্রের জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না।
জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি, রুমা পর্যটক গাইড এসোসিয়েশন, জীপ ও মাহেন্দ্র মালিক সমিতি, বোট মালিক সমিতিকে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর শুরু হওয়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
আইকে/বাংলাপেইজ