ক্রীড়া ডেস্ক: ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিকের পর্দা উঠছে ২৬ জুলাই। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হচ্ছে এবারের অলিম্পিক। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এবং ঐতিহ্যের শহর প্যারিসে ২০৬ দেশের ক্রীড়াবিদেরা মেডেলের লড়াইয়ে মাঠে নামবে। ১৯২৪ সালে সবশেষ প্যারিসে বসেছিল অলিম্পিক।
এর আগে ১৯০০ সালেও তারা অলিম্পিক আয়োজন করেছিল। এবার পাক্কা ১০০ বছর পর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে এই মহাযজ্ঞ। যে কারণে আয়োজকদের প্রস্তুতিও নজরকাড়া। যে জন্য প্রয়োজন বিশাল অর্থ সরবরাহ। সফলভাবে অলিম্পিক আয়োজন করার জন্য ৮.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে যাচ্ছে আয়োজকরা।
ফ্রান্সের গণমাধ্যম ওয়ালেটহাব এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে। স্টেডিয়াম নির্মাণ, সংস্কার থেকে নিরাপত্তা এবং ক্রীড়াবিদদের আবাসন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ করতে যাচ্ছে আয়োজকরা। প্যারিস এবং লন্ডনই কেবল তিনটি অলিম্পিক আয়োজন করেছে। তবে খরচের দিক থেকে সব অলিম্পিককে ছাড়িয়ে গেছে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক।
সেবার ২০ বিলিয়ন খরচ করেছিল জাপান। এছাড়া লন্ডন ২০১২ সালে ১৭.১ বিলিয়ন ডলার এবং রিও ডি জেনেরিও ২০১৬ সালে খরচ করেছিল ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার। এ সব তথ্য দিয়েছে মার্কেটওয়াচ।
তবে মার্কেটওয়াচের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্স এবার আনুমানিক ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। এর মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন ডলার অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ওয়ালেট হাব জানিয়েছে, ফ্রান্স অলিম্পিকের জন্য দুটি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে, একটি অ্যাকুয়াটিকস সেন্টার। অন্যটি অ্যাডিডাস সেন্টার। অ্যাকুয়াটিকস স্টেডিয়ামে বসে ৬ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন।
যেখানে হবে ডাইভিং, সিঙ্কোনাইজড সুইমিং এবং কিছু ওয়াটার পোলো ইভেন্ট। এই স্টেডিয়াম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ২০৪ মিলিয়ন ডলার। বার্তা সংস্থা এপি’র দেওয়া তথ্য মতে, অ্যাডিডাস এরিনা তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। যেখানে ৯ হাজার দর্শক ব্যাডমিন্টন, রিদমিক জিমনাসটিকস এবং ওয়েটলিফটিং ইভেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম দ্য স্টাডি ডি ফ্রান্স-এ অলিম্পিকের উদ্বোধন এবং সমাপণী অনুষ্ঠান হবে। দুই ইভেন্টে ৭০৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এছাড়া ফুটবল এবং রাগবির ম্যাচগুলোও হবে এই স্টেডিয়ামে। যেখানে ৮০ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারবেন।
খরচের পাশাপাশি অলিম্পিক কমিটির আয়ের পথও খেলা। এনবিসিইউ ইউভার্সিাল ২০২১ থেকে ২০৩২ পর্যন্ত ব্রডকাস্ট রাইটসের জন্য ৭.৬৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে অলিম্পিক কমিটিকে। এছাড়া টিকিট বিক্রি থেকেও আয় করে আয়োজকরা। এবার সর্বনিম্ন ৯৮ থেকে সর্বোচ্চ ২৯৪৫ ডলার পর্যন্ত টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ইভেন্ট অনুযায়ী টিকিটের দামের পার্থক্য রয়েছে।
অবকাঠামো ব্যয়ের সঙ্গে নিরাপত্তার দিকটিও দেখতে হয় আয়োজকদের। ফ্রেঞ্চ সরকার নিরাপত্তার জন্য ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে যাচ্ছে। এই নিরাপত্তার ভেতরে প্রথমবারের মতো অনলাইন নিরাপত্তাতেও জোর দিয়েছে ফ্রান্স।
বাংলাপেইজ/এএসএম