বাংলাপেইজ: বন্যায় দেশের ৮টি জেলায় ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জনগণের জন্য জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়৷
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা৷
কোন জেলায় কত ক্ষতি?
ফেনী
- ফেনী জেলার ৬টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ৷
- বন্যার পানিতে ডুবে ১ জনের মৃত্যু৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৭৮টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী লোকসংখ্যা ২০ হাজার৷
- মেডিকেল টিম চালু ৭৬টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ৪২ লাখ এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৪০০ টন ও শুকনা খাবার ৩ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা
- বন্যায় কুমিল্লা জেলার ১২টি উপজেলার ১২৪টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ টি৷
- দুর্যোগকবলিত জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ জন৷
- আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৭টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী লোকসংখ্যা ৪ হাজার ৩০২ জন এবং গবাদিপশুর সংখ্যা ৬৬৭টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী
- নোয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৯ লাখ ৮০ হাজার জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৩৮৮টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী লোকসংখ্যা ৩৬ হাজার ১১৫ জন ও আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭১৪টি৷
- মেডিকেল টিম চালু ৮৮টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম
- বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার ৩টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৫০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ২৩৯টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৭২৫ জন এবং ৬২টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷
- মেডিকেল টিম চালু ১৩৭টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ লাখ ৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার
- মৌলভীবাজার জেলার ৬টি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ২২ হাজার ৫৭৭ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৬৬৭ জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১৬টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩২৫ জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ১৮২টি৷
- মেডিকেল টিম চালু আছে ৩১টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৮৫০ টন ও শুকনা খাবার ১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি
- বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার ৮টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫২২ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৭১ জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ৯৯টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৯,০১৩ জন এবং আশ্রিত গবাদি পশুর সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৪টি৷
- মেডিকেল টিম চালু ১৮টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ কার্য (চাল) ৮০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ
- বন্যায় হবিগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ৮ হাজার ২৪০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৩৩.৪৬৮ জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১১৬টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ১৪০ জন৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ২৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১ হাজার ৯০০ টন ও শুকনা খাবার ৩ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- জেলার ২টি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
- পানি বন্দি পরিবার সংখ্যা ১১৯০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪ হাজার ৯৯১ জন৷
- মৃত লোক সংখ্যা ১ জন৷
- আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সংখ্যা ১১টি৷
- আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৮ জন৷
- মেডিকেল টিম চালু আছে ৬টি৷
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ত্রাণ কার্য (চাল) ১,৬০০ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম