Saturday, November 23, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeআজকের শীর্ষ সংবাদখুলে দেয়া ১৬ জলকপাট দিয়ে কমানো হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

খুলে দেয়া ১৬ জলকপাট দিয়ে কমানো হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

রাঙামাটি প্রতিনিধি: কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে কাপ্তাই বাধেঁর ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক পানি। এছাড়াও বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য সেকেন্ডে ছাড়া হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। এর আগে
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮.৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সারাদিন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিকে কাপ্তাই হ্রদে করে পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে চরম পর্যায়ে গেলে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই কাপ্তাই বাধেঁর ১৬টি জলকপাট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গিয়ে নিন্মাঞ্চলে বাস করা প্রায় এক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে। জেলা সদরে ও জেলার আরো অন্তত ৬টি উপজেলার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজ জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১৫ হাজার কৃষক চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে আক্রান্ত পরিবারগুলো এখনো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেড়ফুট খুলে দিয়ে ১৬টি জলকপাট দিয়ে দ্রুত পানি ছাড়ছে কর্তৃপক্ষ।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, দেড় ফুট করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিস্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।

বাংলাপেইজ/এএসএম

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments