শিক্ষা ডেস্ক: শিক্ষকরা শিক্ষাব্যবস্থার বড় অংশীজন হলেও তাদের সঙ্গে না নিয়েই তৈরি করা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। এসব পড়াতে গিয়ে বিব্রতও হতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
সব মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষকদের জন্যই উদ্বেগের। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন সভায় শিক্ষকরা এসব কথা বলেন।
সভায় হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহকে আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও মো. সিকান্দার আলী খানকে সদস্য সচিব করে ১১৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মোহাম্মদ রুহুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির (বাসমাশিস) সাবেক মহাসচিব এমারত হোসেন মিয়া। দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ সময় বক্তব্য রাখেন।
এমারত হোসেন মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তন এসেছে এতে শিক্ষকরাও তাদের সম্মান ফিরে পাবেন। শিক্ষাব্যবস্থায় সুন্দর কাজ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ এসেছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার শিক্ষায় পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি মোকাবিলায় মাধ্যমিক শিক্ষকরা সব সময় সচেষ্ট ছিলেন, এখনো আছেন। এর পরিবর্তন না হলে এ জাতি পঙ্গু জাতিতে রূপান্তরিত হবে।
আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, নতুনভাবে তৈরি করা শিক্ষাক্রম বড় উদ্বেগের বিষয়। শিক্ষকরা বড় অংশীজন হওয়া সত্ত্বেও তাদের বাদ দিয়ে এ কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম পড়াতে গিয়ে আমাদের বিব্রতও হতে হচ্ছে। শিক্ষাক্রমে এমন কিছু বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে যার ফলে জাতি হতাশ হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাপেইজ/এএসএম