নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে ৪৭৭ জন। প্রতিবেদনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৬২২। এই সংখ্যাটি হাসপাতাল থেকে নেয়া।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এ প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক বা খসড়া তালিকা। এখন তথ্য-উপাত্ত শুদ্ধ করার কাজ চলছে। এই তালিকা ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হবে। তখন আরো কিছু নাম যোগ হতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যাতেও পরিবর্তন আসবে।
সরকারি হিসেবে আন্দোলনে এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৭। ৮ বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৭৩ জন আহত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম ২৩৬ জন আহত হয়েছে বরিশাল বিভাগে।
অভ্যুত্থানে সারাদেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৬২২। ঢাকার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩৮ জন আহত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৫৪৬ জন। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে যথাক্রমে ১ হাজার ২০৫ জন ও ১ হাজার ১৫৪ জন। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ৭১৮ ও ৫৭৭ জন।
আন্দোলনে আহত ও নিহতের তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)। মৃত্যুর তালিকায় দেখা গেছে, আন্দোলনের সময় সব বিভাগেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৪৭৭ জন।
সবচেয়ে কম মারা গেছে বরিশাল বিভাগে, একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে মারা গেছে যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলায় মারা গেছে যথাক্রমে ২২, ১৯ ও ১৭ জন। এই আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রংপুরে। এই বিভাগে সহিংসতায় মারা যায় ৪ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা হাসপাতাল সূত্রের বাইরে অন্য সূত্র থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
বাংলাপেইজ/এএসএম