‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রচন্ড চাপে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য রদবদলের আভাস দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৮ফেব্রুয়ারী) মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসি জানিয়েছে, এবার ব্রেক্সিট সুযোগ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যাকব রিস-মগ। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের সময় ‘লিভ’ বা ইইউ ত্যাগের পক্ষের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন রিস-মগ। তিনি এখন পূর্ণ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদা পাব
প্রানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, রিস-মগকে মন্ত্রিসভায় একটি যথাযথ অর্থনৈতিক ভূমিকায় দেখতে চান বরিস জনসন।
এছাড়া নতুন চিফ হুইপ করা হয়েছে ক্রিস হিটন-হ্যারিসকে। কনজারভেটিভ দলের এমপিদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার দায়িত্ব সামলাতে হবে তাকে। ওই এমপিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বরিস জনসনের পদত্যাগ চেয়েছেন।
চিফ হুইপ ছিলেন মার্ক স্পেন্সার। তিনি রিস-মগের বদলে কমন্সসভায় দলের নেতা হবেন। তবে কিছু দলীয় এমপি ব্যক্তিগতভাবে স্পেনসারের নতুন পদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পার্লামেন্টে দলের নেতা হিসেবে তার ভূমিকার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্টমিনস্টারে আচরণের মান বহাল রাখা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বর্তমানে সহকর্মী এমপি নুসরাত ঘানির উত্থাপিত ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।
ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র জানিয়েছে, পেমাস্টার জেনারেল মাইকেল এলিস ক্যাবিনেট অফিসের মন্ত্রীর অতিরিক্ত ভূমিকা পালন করবেন। উপপ্রধান হুইট স্টুয়ার্ট হবেন গৃহায়ণ মন্ত্রী। এর মাধ্যমে গত দশ বছরে গৃহায়ণ মন্ত্রী হওয়া একাদশ ব্যক্তি হবেন তিনি।
জেমস ক্লিভারলি বৈদেশিক, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তরে বহাল থাকবেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বদলে ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী হবেন। এছাড়া পরিবহন দপ্তরে পদোন্নতি হবে ওয়েন্ডি মর্টনের।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দপ্তরের কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে রদবদল প্রয়াজন ছিল। এটি এমপিদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে।