চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। ফলে চলতি বছর দেশটির চাল রপ্তানি প্রায় ২৫ শতাংশ কমতে পারে।
কারণ ভারত থেকে চাল আমদানিতে খরচ বাড়ায় ক্রেতারা অন্যদিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে। কারণ এ দেশগুলো কম দামে চাল বিক্রির অফার দিচ্ছে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে ভাঙা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। একই সঙ্গে অন্যান্য চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখতে এ পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। কিন্তু অন্যান্য চালে শুল্ক বসালেও সিদ্ধ ও বাসমতি চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেনি দেশটি।
দেশটির দ্য রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টিআরইএ) সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেন, নতুন শুল্ক আরোপের ফলে ভারতীয় চাল আমদানিতে খরচ বেড়ে গেছে। এতে রপ্তানি কমপক্ষে ৫০ লাখ টন হ্রাস পাবে। তাই এই বছর মোট চাল রপ্তানি হতে পারে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টনের বেশি।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ভারত রেকর্ড দুই কোটি ১০ লাখ টনের বেশি চাল রপ্তানি করে। যা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত রপ্তানির চেয়ে বেশি।
বিশ্বে ১৫০টি দেশে চাল রপ্তানি করে ভারত। তাই তাদের যেকোনো ধরনের বিধিনিষেধে খাদ্যের বাজারে চাপ বাড়তে পারে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়তে পারে চালের দাম। তাছাড়া তীব্র খরা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশে দেশে গুরুত্বপূর্ণ এ পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে।
বৈশ্বিক চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। তাছাড়া বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল এশিয়ায় উৎপাদন ও খাওয়া হয়।
বাংলাপেইজ/এএসএম