সাফ নারী টুর্নামেন্টের বিগত সব আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার সেই ভারতবিহীন ফাইনাল হচ্ছে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। নেপাল বিগত সময়ে চারবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি। বাংলাদেশের একমাত্র ফাইনালেও ছিল ভারত বাধা। তাই দুই নারী দলের সামনেই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের হাতছানি। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায়।
নেপালের বিপক্ষে সাবিনারা কখনো জেতেননি। ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের ট্রফি জিততে চান বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘শেষ চারটি ম্যাচ মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। তারা মানসিক ও ফিজিক্যালি ফিট ফাইনালের জন্য। দুই দিনে ঠিক করেছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। কারণ নেপাল খুবই শক্তিশালী দল; ফিজিক্যালি, টেকটিক্যালি।’
আগামীকালের ম্যাচে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ দর্শক। ভারতের ম্যাচে সাড়ে সাত হাজার দর্শক ছিল। ফাইনালে দর্শক উপস্থিতি হবে এর দ্বিগুণ। এই পরিস্থিতিতে খেলাটা সাবিনাদের জন্য খানিকটা কঠিন মেনেও কোচ বলেন, ‘কিছুটা কঠিন এই ক্রাউডে খেলা। নেপাল এই সুবিধা পাবে। ২০১৮ সালে ভুটানে নেপালের বিপক্ষে ক্রাউডের মধ্যে ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। পরের বছর মায়ানমারে এএফসি কোয়ালিফিকেশন দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছে ক্রাউডের মধ্যে। ফুল ক্রাউড ও শাউটে খেলেছে। ১৮ কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।’
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে সাবিনারা। এই ম্যাচের আগের দিন খেলোয়াড়দের উদ্দেশে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি প্লেয়ারদেরকে একটি কথাই বলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। তারা এখন বড় হয়েছে। তারা এখন গেম ধরতেও পারে। আমরা যেভাবে খেলে আসছি ম্যাচ বাই ম্যাচ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে শিরোপা জেতার।’
নেপালের অধিনায়কও শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার ভারতের সঙ্গে জিতেছি। আমরা উপভোগ করেছি। আমরা কথা বলতে চাই না। মাঠের খেলাতেই প্রমাণ করতে চাই।’
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা করছে। আগামীকালের ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কালকের ম্যাচে বৃষ্টিও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। ভারী মাঠ দুই দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হবে।
সিনিয়রদের টুর্নামেন্টে না হলেও বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের শিরোপা জিতেছে কয়েকটি। ২০১৬ শিলিগুড়ি সাফের ফাইনাল খেলেছেন এমন ফুটবলার রয়েছেন এই স্কোয়াডে দশ জনের বেশি। ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না খেলতে পারবেন কিনা সেটা আগামীকাল সকালে সিদ্ধান্ত নেবে কোচিং স্টাফ।
বাংলাপেইজ/এএসএম