ভোলার চরফ্যাসনে জমি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমার টাকার হিস্যা নিয়ে নিয়ে তর্কের জেরে ভাতিজা নুরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা আবু তাহের, মালেক ও চাচাতো ভাই তারেকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে মামলা মোকদ্দার খরচের পাওনা টাকার হিস্যা নিয়ে তর্কের জের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের কবল থেকে স্বামীকে রক্ষা করতে স্ত্রী মরিয়ম এগিয়ে এলে তাকে ও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় ও স্বজনরা স্বামী -স্ত্রী দুজনকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক আশংস্কাজনক অবস্থায় আহত নুরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। শুক্রবার রাত নয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নুরুল ইসমলামের মৃত্যু হয়।
মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পরলে নিহতের স্বজনারা চরফ্যাসন পৌর সদর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চাচা আবদুল মালেকে আটক করে চরফ্যাসন থানায় সোপর্দ করেন। নিহত নুরুল ইসলাম ওই গ্রামের আবদুর রশিদ জামাদারের ছেলে। এবং স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়,প্রতিবেশী জৈনক ব্যাক্তির সাথে আবু তাহের জমদার ও নুরুল ইসলাম পরিবারের জমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলমান ছিলো। সম্প্রতি সময়ে ওই মামলায় আবু তাহের জমদার ও নুরুল ইসলামরা হেরে যান। মামলায় হেরে যাওয়ার পর মামলার খরচের টাকার হিস্যা নিয়ে চাচা আবু তাহের জামদার ও নুরুল ইসলাম পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়।
শুক্রবার সকালে ওই টাকার হিস্যা নিয়ে চাচা আবু তাহের জমদার ও নুরুল ইসলামের মধ্যে তর্ক বাধে। তর্কের জের ধরে চাচা আবু তাহের ভাতিজা নুরুল ইসলামকে খন্তা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। স্বামীকে উদ্ধার করতে স্ত্রী মরিয়ম এগিয়ে এলে তাকে ও মারধর করা হয়।স্বামী-স্ত্রী দুজনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংস্কাজন অবস্থায় গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ঘটনার সাথে জড়ির নিহতের চাচা আবদুল মালেক জামদারকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।