রুশ তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। এমন সিদ্ধান্ত সমগ্র বিশ্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভক। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি রাশিয়ার তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের শাস্তি হিসেবে দেশটির তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন নেই।
জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস এরইমধ্যে এই মার্কিন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার (৮ মার্চ) এক টেলিভিশন বক্তব্যে এমন পরিকল্পনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে সাবধান করেছেন রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি এখন নিশ্চিত যে রাশিয়ার তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে বিশ্ব বাজারে তার ভয়াবহ প্রভাব পরবে।
তেলের দাম ‘আনপ্রেডেক্টেবল’ হয়ে উঠবে। এমনকি ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইউরোপের মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ গ্যাস আর ৩০ শতাংশ তেল রাশিয়া থেকে আসে। এই সরবরাহ বন্ধ হলে খুব সহজ কোন বিকল্পও নেই। নোভাক বলেন, রাশিয়ার বিকল্প তেলের বাজার খুজতে ইউরোপের এক বছরের বেশি সময় লাগবে এবং সেটি পারলেও তাদের তেল কিনতে হবে অনেক বেশি দাম দিয়ে। ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের উচিৎ তাদের নাগরিক ও ভোক্তাদের সততার সঙ্গে জানিয়ে দেয়া যে, কী ভয়াবহ পরিণতি আসতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি রাশিয়ার জ্বালানী তেল প্রত্যাখ্যান করতে চান, চালিয়ে যান। আমরাও প্রস্তুত। রাশিয়া ভাল করেই জানে এই তেল কোথায় বিক্রি করতে হবে।
নোভাক বলেন, নর্ড স্ট্রিম ২ এর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এখন আমাদের অধিকার আছে গ্যাসের উপরে একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার। এখনো আমরা সে ধরণের কোনো সিদ্ধান নেইনি। কিন্তু ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের বিবৃতি ও অভিযোগ তোলার মাধ্যমে আমাদেরকে সেদিকে ঠেলে দিচ্ছেন।