আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপর চালু হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। শুরু দিকে পরিপূর্ণভাবে মেট্রোরেল চলবে না। ধীরে ধীরে পরিপূর্ণভাবে চালু হবে। তাই আজ ঘিরে নানা আয়োজন।
মেট্রোরেলের উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোতলায় টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম তিন তলায়। স্টেশনে প্রশস্ত লিফট ছাড়াও এস্কেলেটরের (চলন্ত সিঁড়ি) ব্যবস্থা রয়েছে। সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ, প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিট সংগ্রহের মেশিনসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াতে যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে ‘র্যাপিড পাস’ ব্যবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিয়াবাড়ি স্টেশনের মতো সব স্টেশনেই প্রবেশ করতে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা ও নির্দেশিকা রাখা আছে। লিফটে ওঠার পর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত চলাচলে নির্দেশিকা টানানো হয়েছে। তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা, অফিস ও নানা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে কনকোর্স হল। তৃতীয় তলায় রয়েছে রেললাইন ও প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শুধু টিকিটধারী যাত্রীরা যেতে পারবেন।
দুর্ঘটনা এড়াতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা বেষ্টনী বা ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর’ স্থাপন করা হয়েছে। যাতে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও আরামদায়ক পরিবেশে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারেন। স্টেশনে ট্রেন থামার পর নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ট্রেনের দরজা একসঙ্গে খুলে যাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে।
বাংলাপেইজ/এএসএম