সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বড়ছড়া শুল্কস্টেশন সংলগ্ন টেকেরঘাট সীমান্তে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় ১০লাখ টাকা মূল্যের ৩৫ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনে মতো গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারী) রাত ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) ভোর পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন সংলগ্ন টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পিছনে অবস্থিত পাহাড়ীছড়া ও কবরস্থানের এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চোরাকারবারী শফিকুল সর্দার ১৩২ বস্তা, ইউনুছ মিয়া ৬২বস্তা, তামিম মিয়া ৪০ বস্তা, বদরুজ্জামান ৬০বস্তা, লিটন মিয়া ৩০বস্তা, আশিকনুর ৫০বস্তা, সিদ্দিক আলী ৭০বস্তাসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত চোরাকারবারীগং ৫১২বস্তা কয়লা (অনুমান ৩৫ মেঃটন) পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা ঠেলাগাড়ি বোঝাই করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নিলাদ্রী লেকের পাশে অবস্থিত অসিউর রহমান, আব্দুল্লাহ ও মজিবুর মিয়ার ডিপোতে নিয়ে মজুত করে।
অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের সোর্স ইয়াবা কালাম ও জিয়াউর রহমান জিয়ার পাচাঁরকৃত কয়লা ভারত সীমান্ত সংলগ্ন তাদের চোরাকারবারীগংদের তৈরি করা ১০-১২টি চোরাই কয়লার গুহার ভিতরে মজুত করে রেখেছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলে প্রায় ২শ মেঃটন অবৈধ চোরাই কয়লা উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে- পাচাঁরকৃত অবৈধ ১বস্তা কয়লা (৪০কেজি) থেকে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নাম ভাংগিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া চাঁদা নেয় ১শ টাকা, বড়ছড়া শুল্কস্টেশনে নাম ভাংগিয়ে সোর্স রতন মহলদার চাঁদা নেয় ৫০টাকা, সাংবাদিক ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের নাম ভাংগিয়ে সোর্স লেংড়া বাবুল চাঁদা নেয় ৫০টাকা। অন্যদিকে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে চিহ্নিত চোরাকারবারী সোর্স ইয়াবা কালাম মিয়া ১বস্ত চোরাই কয়লা থেকে চাঁদা নেয় ১৭০টাকা। তবে তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার উপরের উল্লেখিত সোর্সদের পাচাঁরকৃত মাদকদ্রব্য ও কয়লাসহ একাধিক নৌকা আটক করেন এবং সোর্সদের নামে থানায় মামলা দিয়ে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছিলেন। বর্তমানে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীরা জামিনে এসে আবার পুরো দমে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য শুরু করেছে। কিন্তু এব্যাপারে নেওয়া হচ্ছে কোন পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে টেকেরঘাট সীমান্ত ফাঁড়ির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারি ইছা মিয়ার বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে টেকেরঘাট কোম্পানীর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার শামসুল বলেন- কোম্পানী কমান্ডার ইয়াহিয়া খান সাহেব বাহিরে গেছেন, বর্তমানে আমি দায়িত্বে আছি, ইসাক মিয়া আমাদের সোর্স কিন্তু সে কয়লা পাচাঁরের সাথে জড়িত থেকে আমাদের নামে চাঁদা নেয় কিনা এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।