জামালপুরের মেলান্দহে চিরকুট লিখে ধর্ষণের শিকার হয়ে আশামণি (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগে হওয়া মামলার প্রধান আসামি তাহিম আহমেদ স্বপনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার ভোররাতে ময়মনসিংহের অষ্টধর ইউনিয়নের চরশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সকালে র্যাব-১৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
তিনি বলেন, স্বপন মেলান্দহের চর বসন্ত গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। ওই স্কুলছাত্রী শাহজাতপুর গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। তিনি মালঞ্চ এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার সকালে মেলান্দহের পৌর এলাকার শাহজাতপুর গ্রামের নিজবাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে মেলান্দহ থানায় স্বপনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধান আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জানা গেছে, আশামণি স্কুলে আসা যাওয়ার পথে স্বপন ও তার সঙ্গীরা প্রায়ই উত্যক্ত করত। বৃহস্পতিবার স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে ধর্ষণ করে স্বপন। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে স্বপনের সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা। এ ঘটনা বাড়িতে জানালে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ওই দিন রাতেই ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আশা মণি। এর আগে আশা মণি তার হাতের লেখা একটি চিরকুট লিখে যান।
চিরকুটটিতে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘মা আমার সাথে ওয়াহাব চেয়ারম্যান এর ভতিজা আজকে দিন এক রুমে কাটাইছে। পারলে ক্ষমা করো। যদি কোনো বিচার করো ছেলেটার নাম তামিম আহমেদ শপন খান। মা বাবা তোমরা ভালো থেকো। আমারে ভুলে যেও। আমি বেঁচে থাকলে তোমাদের সম্মান শেষ হয়ে যেত। বাবা মা আবার বলতাছি ভালো থেকো। বাবা মা ভালো থেকো। গুড বাই সোনা বাবা মা’