আগামী শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে ‘মহানন্দা’। এতে মহাশ্বেতা দেবীর ভূমিকায় দেখা যাবে গার্গী রায়চৌধুরিকে। এই চরিত্রে অভিনয় করে অনুভূতি কী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন, খাবার পাতে পড়ার আগে ঠিক যেমনটা রাঁধুনির বুক ধুকপুকানি থাকে। এই সিনেমাতে মহাশ্বেতা দেবীর পাঁচটি লুকে দেখা যাবে গার্গীকে। মহাশ্বেতা দেবীর জীবনের পাঁচটা অধ্যায়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে গল্পে- ৩০, ৪৫, ৫৫, ৬৫, ৭৫।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমার অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি তাৎক্ষণিকতায় বিশ্বাসী। হয়তো কোনো একটা দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে মনে হলো একটু অন্যভাবে বিষয়টাকে তুলে ধরি। আমার কাছে ওয়ার্কশপ মানে হলো পরিচালক, সহ-অভিনেতার সঙ্গে কমফর্ট জোন বাড়ানো। মহাশ্বেতা দেবীর লেখা আমি আগেও অনেক পড়েছি। তবে হ্যাঁ, এই সিনেমাটা করার আগে ওর সাক্ষাৎকারগুলো অনেক বেশি করে দেখেছি। কারণ, একটা সাক্ষাৎকারের সময়ে মানুষের ভিতরের কথাগুলো বেরিয়ে আসে। এটা আমার কাছে দারুণ ইন্টারেস্টিং বিষয়! যে কোনো মানুষকে ভাল করে চেনার জন্য আমি আগে তার ইন্টারভিউ দেখি।
চরিত্রের প্রয়োজনে মেকাপের বিষয়ে তিনি বলেন, তিন ঘণ্টা সময় লাগত মেকআপ করতে। আর আড়াই-তিন ঘণ্টা মেকআপ তুলতে। প্রতিদিন অল্প ভাত আর ডিম সেদ্ধ খেয়ে ভোর পাঁচটায় মেকআপে বসতাম। সকাল সাড়ে ৮টায় শুট শুরু হতো। ৪৫ ডিগ্রি গরমেও রাত্রি ১২টা অবধি শুট চলত। ফিরে যখন প্রস্থেটিক খুলছি, দেখতাম অসম্ভব ঘাম ঝরছে। সেই মেকআপ এতটাই ভারী ছিল যে লাঞ্চও করতে পারতাম না। স্ট্র দিয়ে তরল কিছু গলধঃকরণ করতাম কোনো মতে। ফিরে একেবারে রাতে খেতাম। প্রায় ১৫ দিন এভাবে শুটিং করেছি।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেছেন, ফাঁকা মাঠে একটা বেড়া ভাঙার দৃশ্য। মহাশ্বেতা দেবী যেখানে বেড়া ভাঙতে ভাঙতে চেঁচিয়ে উঠছেন- মাটি আমার মা.. আমি ছাড়ব না…সেই দৃশ্যের শুটের আগে অরিন্দমদা বলছেন, একটা পোর্টেবল এসি আনি এত গরম..আমি বলেছিলাম- কোত্থাও বসব না। টিমেরই কেউ একটা আমাকে কিছু বলতে গিয়েছিলেন, তো তার উত্তরে আমি একটু খেঁকিয়েই উঠেছিলাম।
ওই ভিড়ের মধ্যে থেকেই একজন বলে উঠলেন- বাবাহ বুড়ির অনেক তেজ আছে তো..! প্রস্থেটিক মেকআপ এতটাই ভাল হয়েছিল যে, কেউ চিনতেই পারেননি আসলে। আবার কাউকে বলতে শুনলাম, এই বুড়িটা বয়সকালে ভালো দেখতে ছিল। এগুলো মজার ঘটনা রয়েছে অনেক।