সরকার রফতানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের স্থান সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে রফতানি নীতি ২০০৯-২০১২, ২০১২-২০১৫, ২০১৫-২০১৮, ২০১৮-২০২১ এবং বর্তমান রফতানি নীতি ২০২১-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আলোকে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সার্কভুক্ত অঞ্চলের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা (সাফটা) চুক্তির সুযোগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ভুটানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পিটিএ সম্পাদন করা হয়েছে। শিগগিরই নেপাল ও শ্রীলংকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হবে।
টিপু মুনশি বলেন, রফতানিকারকদের উৎসাহ দিতে জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৮-১৯ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রফতানিকারকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সেমিনার/কর্মশালা অব্যাহত রয়েছে। পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার রফতানিকারকদের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে। দেশীয় পণ্যে বৈচিত্র আনয়ণ ও গুণগত মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে নির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে।