নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি পরিবার থেকে উঠে আসা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার বিএনপি নেত্রীর ছেলে সরকার মনিরুজ্জামান রিংকুর নেতৃত্বে ঘরে উঠা অপকর্মের সিন্ডিকেটের তথ্য উঠে এসেছে। আর এই সকল অপকর্ম করে পুরো রংপুর মেডিকেল কলেজে তৈরি করেছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট যার প্রভাব পড়ছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের উপর।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ২২ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় দুটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সরকারি তিন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে আটক করে র্যাব। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান পাভেল স্থানীয় প্রাইমেট কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। পাশাপাশি রংপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকও ছিলেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে আছেন। ডা. পাভেল মেডিকেল প্রশ্নপএ ফাঁসের মূল হোতাদের একজন, আর এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা মুলত মনিরুজ্জামান রিংকুর সহযোগীতায়ই করে থাকেন বলে বিভিন্ন ডাক্তারদের ভাষ্য।
এ ছাড়া মনিরুজ্জামান রিংকু ষ্টোরকিপার হিসেবে ডা. পাভেল ও ডা. পুলকের সহায়তায় বিভিন্ন কন্ট্রাক্টারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নিয়েছে। কিছুদিন আগে ডা. মোস্তাফিজার রহমান পাভেল ও ডা. আশফাকুর রহমান পুলক আউটডোরে এক নিরীহ ডাক্তারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে ব্যাপার বড় আকার ধারণ করলে ডা. রিংকুর সহায়তায় বিষয় টি ধামাচাপা দেয়া হয় ও সেই নিরীহ ডাক্তার কে অন্যএ বদলী করা হয়। ডা. পুলক রংপুর শহরে একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত।
সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজের স্বাচিপের কমিটি ঘোষণার আগ মূহুর্তে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে নানা অপকর্মে লিপ্ত এই সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা মনিরুজ্জামান রিংকু, সহযোগী হিসেবে আছেন নানা অপকর্মে লিপ্ত রিংকুর দুই সহযোগী ডা. মোস্তাফিজার রহমান পাভেল ও ডা. আশফাকুর রহমান পুলক। রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার স্বাচিপের কমিটি ঘোষণা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করার পর থেকে অবৈধভাবে আয় করা বিপুল পরিমাণে অর্থ দিয়ে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন লবিংয়ে কমিটি আনার চেষ্টাও করছেন।
নিজের বিএনপি সংশ্লিষ্টতা গোপন করে নানা লবিং তদবিরের মাধ্যমে শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সিন্ডিকেট প্রধান ডাক্তার মনিরুজ্জামান রিংকু। ডাঃ মনিরুজ্জামান রিংকু রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার মর্যাদায় স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার মাতা মাহমুদা খাতুন ওরফে রানী বেগম রংপুর মহানগর বিএনপি মহিলাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এর বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজের আওয়ামী লীগ সমর্থক একজন ডাক্তার বলেন, “একজন মহানগর বিএনপির বড় নেত্রী ছেলে ডাক্তার মনিরুজ্জামান রিংকু। তিনি বিএনপি সংশ্লিষ্টতার পরিচয় গোপন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার বড় দায়িত্ব হাতানোর চেষ্টা করছেন। তাছাড়া প্রশ্নফাস, টেন্ডারে হস্তক্ষেপ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত এই রিংকু নেতৃত্বে আসা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা হবে।”