বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ার তেতলা গ্রামের সুনিল মজুমদারের ছেলে পরিতোষ সমদ্দারের বিরুদ্ধে ভ্রুণ নষ্ট ও নির্যাতন করাসহ মান ক্ষুন্ন করার অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী পূর্নিমা সিকদার।
অভিযোগে জানা যায়, পরিতোষ সিকদারের বাবা ও মা পুর্নিমা সিকদারের শ্বশুর শাশুরী মারধর করতো। এর পর বাড়ি থেকে বের করে দিলে পিতলের হাড়িপাতিল বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে পরিতোষ ও পূর্নিমা ঢাকায় চলে যায় এবং দুইজনে কাজ করেন। ঢাকায় কাজ করা অবস্থায় তার স্বামী পরিতোষ সমদ্দার সারমিন নামের এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য জীবনে কলহের সূত্রপাত হয়। পূর্নিমা সিকদারের বাবার বাড়ি থেকে দেয়া গলায়, কানে ও হাতের স্বর্নালংকার স্ত্রীর ঘুমান্ত অবস্থায় খুলে নেয় পূর্নিমার পাষন্ড স্বামী পরিতোষ সমদ্দার।
স্ত্রী পূর্নিমা অভিযোগ করেন, ৪/৫ বার তিনি গর্ভধারন করলেও সুকৌশলে স্বামী পরিতোষ সমদ্দার কি জানি খাওয়াইয়া তার গর্ভপাত ঘটায়। তারপর পূর্নিমা সিকদার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩/৪ দিন কাজ করতে না পারায় মারধর করাসহ না খাইয়ে রাখতো পাষন্ড স্বামী পরিতোষ সমদ্দার।
স্বামীর উঠানো কিস্তির টাকা কাজ করে পরিশোধ করেছে স্ত্রী পূর্নিমা। পূর্নিমা সিকদার তার স্বামী পরিতোষ সমদ্দারকে পরকীয়া থেকে ফিরে আসতে বললে স্ত্রীর উপর নেমে আসে নির্যাতনের খরাগ। প্রতিনিয়ত চলে নির্যাতন। এক পর্যায়ে দুজনের ফিরে আসে গ্রামে। সুচতুর পরিতোষ সমদ্দার নীল নকশা শুরু করে স্ত্রীকে কিভাবে মিথ্যাদোষে দোষারোপ করে বিবাহিত জীবন থেকে কিভাবে বিতারিত করা যায়। নিজের পরকীয়া প্রেমকে প্রতিষ্ঠিত করতে স্ত্রী বিরুদ্ধে পরকীয়ার নাটক সাজাতে পরিকল্পনা শুরু করে স্বামী পরিতোষ। তারই ধারাবাহিকতায় একদিন সন্ধ্যার পর বাসায় এসে স্ত্রী পূর্নিমাকে পার্শবর্তী জনৈক এত ব্যক্তির সহিত পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে। প্রকৃতির ডাকে বাহিরে গেলে স্ত্রীর উপর মিথ্যা অবৈধ কাজে লিপ্ত ছিল বলে লোকজন জরো করে পরিতোষ।
সাংবাদিকরা ঐ সময় ঘটনাস্থলে গেলেও সাংবাদিকদের সাথে দেখা করতে দেয়নি পূর্নিমাকে পরিতোষ ও তার পরিবার। দেখা করতে না দেয়ার কারন ছিল যদি সত্য ঘটনা বেরিয়ে আছে তাই।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে আছে। পুর্নিমাকে ৩/৪ দিন ঘরে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করে স্বামী পরিতোষ ও তার পরিবার। পূর্নিমা সিকদারে পরিবার তাদের বাড়ি গেলে ও তার সাথে দেখা করতে দেয়নি পরিতোষ সমদ্দারের পরিবার। মধ্যযুগীয় কায়দায় দিনের পর দিন নির্যাতন চলে পূর্নিমার উপর। অত্যচার সহ্য করতে না পেরে বর্তমানে অসহায় পূর্নিমা সিকদার বাবার বাড়ি রয়েছেন।
তিনি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচার দাবী করেছেন।