দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিজয়ীরা অবশেষে কাল বুধবারই (১০ জানুয়ারি) শপথ নেবেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
আর তাতে গেজেট প্রকাশের পর প্রথমদিনেই দলটির নির্বাচিতদের শপথ নেয়া নিয়ে দিনভর চলা গুঞ্জন থামলো।
জাপার বিবৃতিতে অনুরোধ করা হয়, বিজয়ী ১১ জনকে কাল শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে। আর পূর্বনির্ধারিত বৃহস্পতিবারের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার দলটির সূত্রে জানা যায়, কাল শপথ নেবেন না জাপার নির্বাচিতরা। কারণ হিসেবে বলা হয়, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ বাকি নির্বাচিতরা এই মুহূর্তে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। তারা ঢাকায় ফিরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন শপথ নেয়ার বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
চব্বিশের ভোটে ২৯৮ আসনে বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে আজ। নবনির্বাচিতরা শপথ নেবেন কাল। এদিন সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে শপথ নেবেন তারা। এজন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি শেষ করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনে কেউ নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২৬৫টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে, ভোটের আগে দলটির ১৯ জন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
দলটির প্রার্থী থাকা ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় পেয়েছিল। সেসব আসনে ছিল না নৌকার প্রার্থী। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লাঙ্গলের প্রার্থীরা। এসব আসনের কোনোটিতে জিততে পারেনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
অন্যদিকে, ছাড় পাওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা। যা অর্ধেকের চেয়েও কম। বর্তমানে দলটির ২৩ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। সেখান থেকে কমে তা ১১-তে দাঁড়ালো।