নিজস্ব প্রতিবেদক: হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আয়োজনে নারী খামারী ও প্রাণিসম্পদ কেন্দ্রিক কৃষিব্যবসা সম্প্রসারণ শীর্ষক জাতীয় অবহিতকরণ সভা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জনাব মো. আখতার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইদুর রহমান, মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মহাপরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এনজিওগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে কাজ করছে। পশুসম্পদ এবং উদ্যানপালনের মতো কর্মসূচিতে কৃষকদের সেবা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সহায়তা করে। পশুসম্পদ, বাজার ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল সরঞ্জামগুলি নিয়ে কাজ করে হেইফার বাংলাদেশ সরকারের কাজকে বেগবান করেছে।’
প্রধান অতিথি সরকারী, বেসরকারী খাত এবং অলাভজনকদের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসরণ করার জন্য সরকার কর্ম অপরিকল্পনা চালু করেছে, অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে শিক্ষায় একীভূত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই, ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত লক্ষ্যের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, এলসিসি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্বীকৃত, বাংলাদেশের এসডিজি র্যাঙ্কিং ১২০ থেকে ১০৭-এ উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
হেইফার ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস নীনা যোশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুরুন নাহার। তিনি ‘বিফ অ্যান্ড গোট মার্কেট সিস্টেম শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৪ হাজারেরও বেশি ক্ষুদ্র ধারক মহিলা কৃষকের রূপান্তরকে তুলে ধরেন।
প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি বলেন টেকসই আয়ের সাথে স্থিতিস্থাপক করে তোলার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চার লক্ষ্য পরিবারকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার লক্ষে কাজ করছে হেইফার।
এসময় তিনি উন্নয়ন সংস্থা, বেসরকারি খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থা এবং সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পৃথিবীর যত্ন নেওয়ার সাথে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, কৃষি খাত এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে নেতৃত্বের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, ব্যবসায়িক উন্নয়ন, স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী এবং নারী-নেতৃত্বাধীন কৃষি উৎপাদনকারী সংস্থা নিয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে দারিদ্র ও ক্ষুধা নিরসনে কাজ করেছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম