গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকার পতনের পরেও গোপালগঞ্জে শক্ত অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ। তবে এবার গোপালগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার (৪৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা সদরের ঘোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহত খায়রুল আলম দিদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি এস এম জিলানীর আগমন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেল ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে ৪টার দিকে ঘোনাপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। তাদের গাড়িবহর ঘোনাপাড়ায় পৌঁছলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখেন হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ সময় সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পেড়েছি, ঘোনাপাড়া সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানী সাহেবের পথসভার কথা ছিল। এ সময় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পরে বেদগ্রাম থেকে ঘোনাপাড়া যাওয়ার সময় জিলানী সাহেবের গাড়িবহরে হামলা চালান তারা। এ সময় দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম