Friday, November 22, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeলাইফ স্টাইলগরুর কোন অংশের মাংসে কী আইটেম?

গরুর কোন অংশের মাংসে কী আইটেম?

পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির মাংস সবার বাড়িতে থাকে। এদিন হরেক রকম রান্নাবান্না হয়। গরুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব অংশের মাংসই ঘরে আসে। তবে সেই মাংসের কোন অংশের কী নাম আর কতভাবেই সেগুলো কাটা যায় বা রান্না করা যায়, তা অনেকের কাছেই অজানা।

ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক সে বিষয়গুলো-

রানের মাংস

পেছনের রানের মাংস দিয়ে কাবাব ভালো হয়। কারণ, রানের মাংস কিমা করা যায় ভালো। তাই কিমাজাতীয় যত রেসিপি, তা সবই রানের মাংস দিয়ে করা হয়। রানের মাংস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টিকিয়া, কাবাব, গ্রিল ইত্যাদি বানানো হয়।

সিনার মাংস

সিনার মাংস অনেকের খুব প্রিয়। এই অংশের মাংস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানি, কোরমা, রেজালা, সুস্বাদু চাপ ইত্যাদি খুবই ভালোভাবে বানানো হয়। এই অংশের মাংসে চর্বি ও কুড়মুড়ে হাড় থাকে। তবে সাধারণ রান্নার মাংসের সঙ্গে মিলিয়ে রান্না করলে আরও মজার হয়ে ওঠে।

টেন্ডার লোয়িন

গরুর পিঠের অংশের মাংসকে বলে টেন্ডার লোয়িন। এই অংশ দিয়ে আমরা দেশি-বিদেশি সব ধরনের রান্নাই খুব তাড়াতাড়ি করতে পারি। যেমন বিফস্টেক, কোল্ডবিফ, রোস্ট, গ্রিল, সতে সিজলিং ইত্যাদি।

কলিজা

কলিজায় রয়েছে প্রচুর আয়রন। পাশাপাশি কোলেস্টরলের পরিমাণও প্রচুর। তাই কলিজা কেটে হলুদ ও লবণ দিয়ে একটি বলক তুলে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর কলিজা রান্নার উপযোগী হবে। এভাবে কলিজা অনেক দিন ফ্রিজে রাখাও যায়। কলিজা দিয়ে অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করা যায়, যেমন কাচুরি মেথি কলিজা, সাতকরা দিয়ে কলিজা ভুনা, থাই স্টাইলে দই কলিজা, সসেজ কলিজা, গ্রিলড কলিজা, কলিজা ভর্তা, কলিজার শাশলিক, কলিজার শিঙাড়া ইত্যাদি। তা ছাড়া মাংসের সঙ্গে নিয়েও কলিজা রান্না করা যায়।

মগজ

মগজ আকারে ছোট। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত একটি খাবার। মগজ ফ্রিজে না রেখে দ্রুত রান্না করা ভালো। মগজ ভালোভাবে ধুয়ে ওপরের পর্দা অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে। ভেতরে রক্তের যে শিরা থাকে, সেগুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মগজ ভুনা, ফ্রাই কাবাব, কাটলেট, সবজির সঙ্গে মিলিয়ে অথবা দই দিয়ে রান্না করা যায়। তবে মগজ বয়স্ক এবং অসুস্থ লোকদের না খাওয়া ভালো।

হাঁটু ও পা

এই অংশটি স্লো কুচিং পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। পায়ের অংশ দিয়ে স্যুপ, নেহারি এবং কিছু থাই রান্না, যা সকালের নাশতায় খুব প্রিয়। পায়ার সঙ্গে নান, পরোটা, রুমালি রুটি, চালের আটার রুটি, লুচি এমনকি লাল আটার রুটিও খুব মজা করে খাওয়া যায়।

জিহ্বা

জিহ্বা পরিষ্কার করা কিছুটা ঝামেলার। তবে গরম পানিতে সেদ্ধ করে ওপরের চামড়া খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এরপর ছোট ছোট টুকরা করে ভুনা বা কাবাব করা যায়। তবে জিহ্বার কোল্ড সালাদ স্যান্ডুইচ খুব প্রসিদ্ধ একটি খাবার।

লেজ

বিদেশে গরুর লেজ খুবই পছন্দের একটি খাবার উপাদান। ষাঁড়ের লেজ খুব মোটা হয়। তাই ষাঁড়ের লেজের রান্নাগুলো খুব সুস্বাদু ও মজাদার হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments